বলাৎকার

নারায়ণগঞ্জে যুবককে বলাৎকার, আসামি গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এক যুবককে বলাৎকারের মামলায় মো. সাঈদ (৪০) নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব৷
শনিবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে দশটার দিকে জেলার সোনারগাঁয়ের চৌধুরীগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব ১১- এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর অনাবিল ইমাম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
মামলার বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, বলাৎকারের শিকার ওই যুবক গত ৮ মার্চ বন্দরে নিজ বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন৷ এসময় অভিযুক্ত সাঈদ তাকে বন্দরের নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করে৷ পরবর্তীতে ওই যুবক ঘটনাটি পরিবারকে জানালে তার মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন৷
র্যাব আরো জানায়, আসামিকে গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে র্যাব৷ পরবর্তীতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আসামি মো. সাঈদকে সোনারগাঁ থেকে গ্রেফতার করে র্যাব ১১- এর একটি আভিযানিক দল৷ আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন৷
এনআই

মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক আটক
রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনায় মারকাযুস সুন্নাহ তাহেরিয়া ওয়ালিয়া মডেল মাদরাসার ৮ বছর বয়সি এক শিক্ষার্থীকে (ছেলে শিশু) বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াসিনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, মাদরাসা শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে প্রথমে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়। এরপর স্থানীয়রা তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাইফুর রহমান মির্জা বলেন, আশকোনা মাদরাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি ওই মাদরাসার এক ছাত্রকে বলাৎকার করেছেন। অভিযোগ জানাজানি হলে স্থানীয়রা ওই শিক্ষককে আটক করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াসিনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআর

যুবককে বলাৎকার, প্রতিবাদ করায় সমন্বয়কদের পেটাল বিএনপির নেতাকর্মীরা
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে যুবককে বলাৎকারের ঘটনায় প্রতিবাদ করায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির দুই সংগঠককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির আহ্বায়ক নিরব রায়হান জানান, সোমবার (১১ মার্চ) রাতে সংগঠক শিথিল ও জুবায়েরকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেধড়ক মারধর করে।
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সাঈদ (৪০) নামের এক বলাৎকারকারীর বিপক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়েছিলো। সেখানে বাবু শিকদার নামে এক বিএনপি নেতা সেই বলাৎকারকারীর পক্ষ নিয়ে আমাদের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিবসহ কয়েকজন প্রতিনিধিকে আটকে রাখেন এবং জেলা কমিটির সংগঠক শিথিল ও জুবায়েরকে বাইরে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে রক্তাক্ত করে।
এদিকে এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত হোসেন অন্তু বাদি হয়ে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বন্দর থানাধীন শাহী মসজিদ পল্লী বিদ্যুৎ রোড এলাকার এক যুবককে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বলাৎকার করে সাঈদ। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বিবাদী বাবু শিকদার (৪০) ও তার সহযোগীরা ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দিয়ে সাঈদকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।
রিফাত হোসেন অন্তু অভিযোগে উল্লেখ করেন, ঘটনাটি আমরা ছাত্রজনতা জানতে পেরে বন্দরের সাবেক ২১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাহেব আলীর অফিসে গিয়ে প্রতিবাদ জানাই। এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত হামলা করে। ফলে ওই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হাসান (২২), জুবায়ের (২০), শিথিল ভূইয়া (১৯), মাহমুদল হাসান (২৩), সিয়াম মাহমুদ (২১), মূদুল (২০), ইসরাফিল (২১) গুরুতর আহত হন।
তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, বাবু শিকদার জুবায়েরকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন এবং নাকে ঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম করেন। আমাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বিবাদীরা আমাদের প্রকাশ্যে খুনের হুমকি দেয়।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনা আমি শুনেছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক প্রতিনিধি একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআর

চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসার শিশু ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ, শিক্ষক আটক
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় হত্যার ভয় দেখিয়ে ১১ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুস সালামকে (৩৫) আটক করে করেছে পুলিশ দিয়েছে এলাকাবাসী।
শনিবার (২২ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের আজিজুর উলুম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোডিং থেকে পালানোর সময় ধাওয়া করে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করা হয়।
আটককৃত আব্দুস সালাম উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের আজিজুর উলুম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোডিংয়ের শিক্ষক ও উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের অনুপনগর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে।
শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানান, বলাৎকারের শিকার শিশুটিকে দুই বছর আগে উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ এলাকার আজিজুর উলুম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোডিংয়ে হেফজ শেখার জন্য ভর্তি করা হয়। গত ৭ মাস আগে ওই মাদ্রাসায় আব্দুস সালাম শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি বিভিন্ন সময় ওই শিশুকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এরমধ্যে ঈদুল আজহার ছুটি চলে আসে। এসুযোগে (১২ জুন) বুধবার রাতে ওই শিশুকে হত্যার হুমকি দিয়ে মাদ্রাসার এক কোনে তাকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখালে শিশুটি নীরব থাকে।
শনিবার বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে ওই শিশুকে মাদ্রাসায় পাঠানোর চেষ্টা করে পরিবারের সদস্যরা। সে মাদ্রাসা যেতে রাজি হয় না। পরিবারের সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিশুটি ঘটনাটি তার মাকে খুলে বলে।
শিশুটির পিতা বলেন, ছেলে ঈদুল আজহার ছুটি মাদ্রাসা থেকে ঘরে এসে জানায়, সে শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং তার সারা শরীর ব্যাথা। ব্যাথার কারণ জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে সে চুপ থাকে, পরে মাদ্রাসায় যেতে চায় না। তাকে চাপ দিলে বাধ্য হয়ে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে। শনিবার রাতেই বিষয়টি নিয়ে ওই শিক্ষকের নিকট জানতে গেলে সে দৌড়ে মাঠে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। পরে তাকে ধাওয়া করে ধরা হয়। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা ও মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ উপস্থিত হলে তাদের নিকট সোর্পদ করা হয়। এ ঘটনায় শিশুর পিতা বাদি হয়ে শনিবার রাতেই আলমডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়ার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্পের টু আইসি এএসআই ইকবাল হোসেন জানান, বলৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলার দায়েরের প্রস্ততি চলছে।

টাঙ্গাইলের সৃষ্টি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ
টাঙ্গাইলের সৃষ্টি একাডেমিক স্কুল ক্যাম্পাস-২ এর আবাসিক ভবনের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।বলাৎকারের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পরই ওই ক্যাম্পাসের আবাসিক গণিত বিষয়ের শিক্ষক প্রণয় সরকার আত্মগোপন করেছেন। শিক্ষক প্রণয় সরকার জেলার ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের আনন্দ মোহন সরকারের ছেলে।
সোমবার (৩ জুন) বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করেন। বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ওই শিক্ষার্থীকে সৃষ্টি একাডেমিক স্কুুল থেকে টিসি(ট্রান্সফার সার্টিফিকিট) নিয়ে চলে যান।
জানাগেছে, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার এক প্রবাসীর অষ্টম শ্রেণির ছেলেকে সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আবাসিকে ভর্তি করা হয়। সম্প্রতি ওই আবাসিকের শিক্ষক প্রণয় সরকার রাতে ওই শিক্ষার্থীকে তার রুমে নিয়ে বলাৎকার করেন। ভবনে থাকা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহায়তায় তাকেউদ্ধার করা হয়। পরে ঘটনাটি যাতে প্রকাশ না পায় এবং প্রকাশ পেলে ওই শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক প্রণয় সরকার তার মায়ের অসুস্থ্যতা দেখিয়ে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে আর বিদ্যালয়ে ফিরে আসেননি।
ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষার্থী ভয়ে জবুথবু ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং তার পরিবারের সাথে কথা বলা কমিয়ে দেয়। শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে পরিবারের চাপে গত রোববার(২ জুন) বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী তার মা'কে জানায়।
সোমবার (৩ জুন) সকালে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনার বিচার দাবি করেন। কিন্তু বিদ্যালয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক না থাকায় সৃষ্টি স্কুলের আবাসিক ভবনের প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান হ্যাপি কোন সদুত্ত্বর দিতেপারেননি। পরে অভিভাবকরা চাপ দিয়ে ওই শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করে টিসি নেয়। এসময় বিদ্যালয় থেকে ঘটনাটি মীমাংসার প্রস্তাব দেওয়া সহ ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা তা নেয়নি।
বলাৎকারের শিকার শিক্ষার্থীর চাচা জানান, ভালো লেখাপড়ার জন্য তার ভাতিজাকে সৃষ্টির আবাসিকে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষকই যখন শিক্ষার্থীর সাথে খারাপ কাজ করে তাহলে নিরাপত্তা কোথায়? ঘটনাটি তাদের না জানিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দিতে চেয়েছে। সুষ্ঠু বিচার চাইলে কর্তৃপক্ষ তালবাহানা করে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটির মীমাংসার প্রস্তাব ও টাকা দিতে চেয়েছে। ওই শিক্ষকও পালিয়েছে। ছেলেটার সাথে খুবই অন্যায় করা হয়েছে। ছেলেটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কারও সাথে তেমন কথা বলছে না। তার মনে ভয় কাজ করছে। এ বিষয়ে তারা আইনের আশ্রয় নিবেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রণয় সরকারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সৃষ্টি একাডেমিকের স্কুল ক্যাম্পাস-২ এর আবাসিকের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান হ্যাপি জানান, বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন- কিন্তু ওই শিক্ষক ক্যাম্পাস না থাকায় সত্যতা যাচাই বা অন্য কোন ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। ওই শিক্ষক মায়ের অসুখ দেখিয়ে ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়ে আর বিদ্যালয়ে আসেনি। ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত।
এসএফ

দেবীগঞ্জে শিশু বলাৎকারের অভিযুক্ত যুবক গ্রেফতার
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু বলৎকারের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মো. তরিকুল ইসলাম (২০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে স্থানীয় সালিশে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা চালানো হয়। ঘটনার একদিন পর ভুক্তভোগীর নানার দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয় তরিকুল ইসলামকে। গ্ৰেপ্তার তরিকুল ইসলাম চিলাহাটি ইউনিয়নের মাঝিয়ালী গুচ্ছগ্ৰাম এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের মাঝিয়ালী এলাকায় দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করে তরিকুলকে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশু মিজান (৫) বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর চিলাহাটি ইউনিয়নের মাঝিয়াল পাড়া এলাকায় নানার বাড়িতে থাকতো। গতকাল শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে মিজানকে ডেকে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেতে বলাৎকার করে অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম। এসময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে পাশের ক্ষেতে ঘাস তুলতে আসা এক নারী এগিয়ে এলে অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম পালিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার নানার কাছে নিয়ে যান সেই নারী।
শিশুটির নানা ভাউলাগঞ্জ বাজারে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা করান এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি জানান। স্থানীয়ভাবে সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন জনপ্রতিনিধিরা।
শনিবার দুপুর আড়াইটায় তরিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে দেবীগঞ্জ থানায় এজাহার দাখিল করে শিশুটির নানা মফিজুল ইসলাম। এজাহার পাওয়ার পর প্রাথমিক তদন্ত শেষে তৎক্ষণাৎ অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম কে আটক করে পুলিশ। এঘটনায় বলাৎকারের শিকার শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ-ক্রাইসিস এ (ওসিসি) পাঠানো হয়।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, এজাহার পাওয়ার পর অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত তরিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
এমআর

কালাইয়ে বাকপ্রতিবন্ধী বলাৎকার, বৃদ্ধ গ্রেফতার
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় ১৫ বছর বয়সী বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরকে বলাৎকার করার অভিযোগে মকবুল হোসেন (৬২) নামে এক বৃদ্ধকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে গ্রামবাসীরা৷
মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের দামথর গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটেছে। শিশুর বাবা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা করেছেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, জেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের দামথর গ্রামের পুকুর পাড়ে বসেছিলেন বাকপ্রতিবন্ধী কিশোর। এসময় ওই বৃদ্ধ মাঠে ঘাস কাটতে আসে। একপর্যায়ে ওই বৃদ্ধ পুকুরপাড়ে গিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরটির হাতে বিস্কুট দিয়ে মাঠে নিয়ে যান। সেখানে মরিচের ক্ষেতে নিয়ে বলাৎকার করতে থাকে ওই বৃদ্ধ। তখন ক্ষেতের পাশ দিয়ে দুইজন মহিলা যাওয়ার সময় কিশোরটি চেঁচামেচি শুনতে পায়। এগিয়ে গিয়ে তারা ওই বৃদ্ধকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।
কিশোরটির বাবা বলেন, আমার বাকপ্রতিবন্ধী সন্তানকে বলাৎকার করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি করছি।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী বলেন, ওই কিশোরকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার অনুসন্ধানকৃত ডাটা খোঁজে পাওয়া যায়নি
